Breaking News

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আমি তো মানুষ, ভুল হতেই পারে- মাহী

ঈদে ছোট পর্দায় খুব একটা ব্যস্ত না থাকলেও, হঠাৎ এক নাচের ভিডিও ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। প্রশংসার চেয়ে ভিডিওটি ঘিরে প্রশ্নই উঠেছে বেশি—আসলে কী আছে সেই ভিডিওতে? যার কারণে সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদের তুমুল ঝড় উঠে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ইয়ামাহার একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন মাহি। সেখানে তার পরিহিত পোশাক এবং নাচের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘নিজেকে যেন বলিউড অভিনেত্রী মনে করছেন’! আবার কেউ বা বলছেন, ‘এত ট্রান্সপারেন্ট জামা পরেন কীভাবে তিনি।’ এসব সমালোচনা নিয়ে খানিক বিরক্ত অভিনেত্রী নিজে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন,

শুভ নববর্ষ নতুন বছর মানেই নতুন শুরু। পুরনো কষ্ট, ভুল বোঝাবুঝি আর রাগ সব পিছনে ফেলে আসি, চলি সামনে এগিয়ে খোলা মন নিয়ে। যদি আমার কোনো কাজ বা পোশাক কারো খারাপ লেগে থাকে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি তো মানুষ, ভুল হতেই পারে। আমরা সবাই শেখার মধ্যেই আছি। এই নতুন বছরে সবাইকে জানাই ভালোবাসা, শান্তি আর আনন্দের শুভেচ্ছা।

উল্লেখ্য, ছোট পর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। এবার ঈদে অন্যান্য অনেক শিল্পীর একাধিক কাজ এলেও সেভাবে দেখা যায়নি মাহিকে। এরমধ্যে হঠাৎ এক নাচের ভিডিওর কারণে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সামিরা খান মাহি। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ইয়ামাহার একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বেশ সমালোচনা করেছেন। বিভিন্ন পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওটা ছড়িয়ে পড়েছে। নাসির নামে একজন নেটিজেন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘পোশাকটা যেমন কালা বাস্তবেও কিন্তু এমন কালা ক্যামেরাম্যান হয়ত একটু এডিট মাইরা একটু চেহারাটা দেখাইছে আর কি অনেক সুন্দর লাগছে বস্তির রানীকে।’ আরেকজন প্রশ্ন করে লিখেছেন, ‘আচ্ছা ভাই পোশাক কি আর এই দুনিয়ায় ছিল না।’ রুশা জানাহ বুসরার কথায়, ‘পারিবারিক শিক্ষা বলে কিছু নাই এদের এসব ড্রেস পরে এদের মা-বাবা দেখলে ওর মা-বাবার লজ্জা করে না।’

অনেকের কাছে মনে হয়েছে যে, আমি মনে হয় নাচের কস্টিউমের ভিতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভিতরে আমি আরো দুইটা জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সেজন্য হয়তো এমন লেগেছে।’ এসব সমালোচনা নিয়ে খানিক বিরক্ত অভিনেত্রী নিজে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ইভেন্টে অংশ নিয়ে এক ঘণ্টার মতো পারফর্ম করি। পুরো নাচের মধ্যে অনেকগুলো মুদ্রা ছিল তবে সেখান থেকে কিছু অংশ নিয়ে সেটা জুম করে কেউ পাবলিশ করেছিল, যেটা দেখতেও খুব বাজে লেগেছে। এমনটা করা মোটেও উচিত হয়নি।’

সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো এটা কিছুদিন পরপরই হয়ে আসছে। এটা নিয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই। অনেকের কাছে মনে হয়েছে যে, আমি মনে হয় নাচের কস্টিউমের ভিতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভিতরে আমি আরও দুটি জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সেজন্য হয়তো এমন লেগেছে।’ তিনি আরও বলেন, আমি এই কস্টিউম পেয়েছি জাস্ট রিহার্সেলের সময়- তাও একদিন আগে। আর এটা পরিবর্তন করার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না।’

এদিকে সামিরা খান মাহি এখন একটি অ্যান্থোলজি ফিল্মের শুটিং করছেন। ‘থার্স ডে নাইট’ শিরোনামের এই গল্পটি পরিচালনা করছেন জাহিদ প্রীতম। অশোভন পোশাকে নাচের পর ভিডিও ছবি ভাইরাল হবার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। হুবহু তুলি ধরা হলো সামীরা খান মাহী বাবার চাকুরীর সুবাদে সিলেটে বড় হওয়া এই মেয়ে নিজেকে সিলেটী দাবী করলেও তার দাদার বাড়ি লক্ষীপুর, তার মূল নাম মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন কলি। সামিরা খাঁন মাহির পিতার বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলায়, তার পিতা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর অপারেটর হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।

তার জন্ম দিরাইয়ে, এরপর দিরাই ও পরবর্তীতে সিলেটে বেড়ে ওঠা, তার পিতা একজন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন বলে জানা যায়! ফারজানা ইয়াসমিন মিডিয়া অঙ্গনে পা দেয়ার পর সামিরা খান মাহি নামেই সকলের কাছে পরিচিতি অর্জন করেছে। সম্প্রীতি YAMAHA FZ-25 মটরসাইকেল লঞ্চিং অনুষ্ঠানে তার অশোভন পোষাকে নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই বলছেন এই অরুচি’কর পোশাক পড়া মেয়ে নিজেকে সিলেটের মেয়ে হিসেবে দাবী করলে সিলেটের ভাব-মূর্তি নষ্ট করা হবে! ছোটবেলা থেকে সিলেটে পড়াশুনা করায় তিনি সিলেটি ভাষা আয়ত্ব করেছেন। প্রকৃত সিলেটের মেয়েরা কখনো এমন অশোভন হতে পারে না।

About Atn24news

Check Also

গুলশানে স্পা সেন্টারে র‌্যাবের অভি’যান, একাধিক নারী আ’ট’ক

রাজধানীর গুলশানে স্পা সেন্টারের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-১। অভিযানে স্পা সেন্টারটির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *