চিয়া সিডস বা বীজ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। রকমারি উপকারিতার কারণে প্রায় সবাই এর সঙ্গে পরিচিত। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এর স্বাস্থ্যগুণও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। এর যেমন উপকারিতা রয়েছে, আবার অপকারিতাও রয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এর উপকারিতার জন্য মানুষ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। হজমশক্তি উন্নতি করতে, ওজন কমাতে, হাড় শক্তিশালী করতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই বীজ।
প্রাকৃতিক এই বীজের নানা উপকারিতা থাকার পরও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা ও ডায়েরিয়ার মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। খাদ্যতালিকায় যদি এই বীজ অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে দুই সপ্তাহ একটানা খাওয়ার পর কী হবে, সেটিই জানিয়েছেন গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলজিস্ট ড. সৌরভ শেঠি। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ব্যাপারে তাহলে জেনে নেয়া যাক।
এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, চিয়া সিডস নিজ গুণের থেকে ১২ গুণ বেশি পানি শোষণ করে, যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এসব ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই বীজ হজমের জন্য খুবই ভালো। কেননা, এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। এটি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব করায়।
এই বীজ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হাইড্রেশন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। ফলে আপনার ত্বকের জন্যও উপকারী হতে পারে চিয়া সিডস। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের গঠন ও উজ্জ্বলতার উন্নতি খেয়াল করবেন।
খাওয়ার উপায়:
প্রতিদিন সকালের নাশতায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন চিয়া সিডস। সকালে খাওয়া হলে শরীরে সারাদিনের জন্য শক্তি যোগায়। ওজন কমাতে চাইলে পানিতে ভেজানো চিয়া সিডস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তবে রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।