Breaking News

৮ বছরের শিশু ধ…র্ষ…ণের ঘটনায় বেড়িয়ে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য

মাগুরায় মর্মান্তিক এক ঘটনায় আট বছরের এক শিশু পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্বাসরোধের কারণে তার ফুসফুস কাজ করছে না, তবে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর ও দুলাভাই মিলে রাতের অন্ধকারে ভয়াবহ এই পাশবিকতা চালায়। ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাগুরার নিচ নান্দুয়ালি এলাকায়। শুক্রবার শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়, যেখানে বর্তমানে সে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (PICU) চিকিৎসাধীন।

পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতনের শিকার শিশুটির বড় বোনকেও পূর্বে একইভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। তারা বলেন, “আমাদের দুই ভাগ্নিকেই নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ছোটটা তো অসহায় ছিল, তার ওপর এত নিষ্ঠুরতা! আমাদের প্রতিবন্ধী বাবা কিছু করতে পারেনি, আমরা এখন শুধু ন্যায়বিচার চাই।” এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় বোনের শ্বশুর হিট্টু শেখ ও তার স্বামী সজীব শেখকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অন্য অভিযুক্তরা এখনও পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে।

এদিকে, এই পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হলেও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সে এখনও বেঁচে আছে, তবে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। স্বজনদের একটাই দাবি— দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু এমন বর্বরতার শিকার না হয়। তারা বলেন, “বাংলাদেশের কোনো সন্তান যেন আর এমন নির্মমতার শিকার না হয়। এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর এমন কাজ করার সাহস না পায়।” এখন সবার দৃষ্টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে— আদৌ কি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে?

About Atn24news

Check Also

সেনানিবাসে ভয়াবহ হামলা, পাঁচ পাকিস্তানি সেনাসহ নিহত ৩৪

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু শহরের একটি সেনানিবাসে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা পাঁচ সেনা সদস্যসহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *