৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন আসে। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক মামলা আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে থাকে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজ হোসেন সেই সময় থেকেই আত্মগোপনে চলে যান। বয়স ৩০, রাজনীতির ময়দানে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের শহর ছেড়ে অজানা এক স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
অন্যদিকে, মিরাজের স্ত্রী তানজিনা আক্তার সেই সময় থেকে একাকী জীবনযাপন করছিলেন। তাদের বিয়ের বয়স মাত্র এক বছর, তবে রাজনৈতিক ঝামেলার কারণে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। মিরাজ মাঝে মাঝে তানজিনার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন, কিন্তু সরাসরি দেখা করার সাহস পাননি।
তানজিনা অনেকদিন ধরে অনুরোধ করে আসছিলেন মিরাজকে, “তোমার একবার দেখা করতে আসা দরকার। আমার আর সহ্য হচ্ছে না।” মিরাজ অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন, স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে দেখা করবেন।
স্ত্রীর সাথে গোপনে দেখা করতে আসলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়, সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মিরাজকে গ্রেপ্তার করে। তানজিনা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন, “ওকে ছেড়ে দিন, ও কিছু করেনি।”