দোয়া কবুলের গল্প | দরুদের বরকত
এই গল্পটি এক ভাইয়ের কাছ থেকে শোনা, যিনি একসময় নামাজহীন, গাফেল জীবনে ডুবে ছিলেন।
তিনি বলেন—
“আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়তাম না, দ্বীন নিয়ে ভাবনাও ছিল না। জীবনে শুধু হতাশাই ছিল। চাকরি নেই, সংসারে টানাপোড়েন, আত্মীয়দের কাছে অপমান—সবমিলিয়ে হতাশার অতল গহ্বরে ডুবে যাচ্ছিলাম।
একদিন হঠাৎ করে ইউটিউবে দরুদের ফজিলত নিয়ে একটি লেকচার দেখি। ফজিলত দেখে নিয়ত করলাম, একবার চেষ্টা করে দেখি।
আমি ঠিক করলাম—প্রতিদিন ১০০০ বার দুরুদ পড়ব, ৪০ দিন পর্যন্ত।
প্রথম কয়েকদিনেই মনে হচ্ছিল, ভেতরের ভার যেন একটু হালকা হয়ে যাচ্ছে। অজানা এক প্রশান্তি পেতাম।
দিন যেতে লাগলো। ঠিক ৩৪তম দিনে একটা কোম্পানি থেকে চাকরির কল আসে। যেই চাকরির জন্য আমি আগেও অনেকবার আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছিলাম—এবার একেবারে ডিরেক্ট রিক্রুট!
সেদিন শুধু সেজদায় পড়ে কেঁদেছিলাম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে কেঁদেছিলাম। দুরুদের বরকতে আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য অসম্ভব কে সম্ভব করে দিয়েছেন।
আল্লাহ দরুদকে আমার জন্য হিদায়াতের দরজা বানিয়ে দিয়েছেন।
এই দরুদই আমাকে নামাজে ফিরিয়েছে, হতাশা থেকে মুক্ত করেছে, আর প্রমাণ করেছে—দোয়া কবুল হয়, শুধু দরজা ঠিক রাখতে হয়।
আজও আমি ১০০০ দুরুদ পড়ি, তবে আর কোনো চাওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর ভালোবাসার জন্য।
My Blog My WordPress Blog