খাতুনগঞ্জে সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি
তার পরও বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম। গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে তেলের সরবরাহ একটু বেড়েছে।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত বিশ্ববাজারে দাম কমে যাওয়ার পর আমদানিকারকরা এসও (সরবরাহ আদেশ) বিক্রি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার যা এসও আছে, সেটিরও পণ্য সরবরাহ করছে না। এতে করে বাজারে তেলের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতির সুবাদে বেশ কয়েক মাস বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে ভোজ্যতেল। খাতুনগঞ্জে গতকালও চাহিদা মতো ভোজ্যতেল ছিল না বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আগের সপ্তাহের তুলনায় সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।
পাঁচ প্রতিষ্ঠানের হাতে ভোজ্যতেলের বাজার
সময়ের হাত ধরে ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়লেও ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। এখন এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বড় পাঁচ শিল্প গ্রুপ। তাদের দাবি অনুযায়ীই মূলত তেলের দাম বাড়ানো হয়। তাদের হাতেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ। ক্যাব বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ৭০ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে– মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস।
এনবিআরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে প্রায় ২৫ লাখ ৭ হাজার টন সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করা হয়। ২০২৪ সালে আমদানি হয় প্রায় ৩২ লাখ টন ভোজ্যতেল। দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা এখন প্রায় ৩০ লাখ টন।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দেশে রিফাইনারি রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি অধিকাংশ চাহিদা পূরণ করছে।